উড়ছে লাল-সবুজের বিজয় কেতন

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৩৪ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার

‘গাছের ডালে একটি পাখির ছিল সুখের বাসাbangladesh-3

আর কিছু নয় একটুখানি সুখ ছিল তার আশা।

সেই পাখিটার ভালোবাসার মানুষ ছিল যারা

 প্রিয় পাখির জন্য তখন যুদ্ধে গেল তারা।

নয়টি মাসের ভীষণ রকম সেই যুদ্ধের শেষে,

ফিরলো ঘরে মানুষগুলো বীর বিজয়ীর বেশে’।

সেই বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের দামে কেনা
আমাদের এই বাংলাদেশ আজ 
বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ঘড়ির কাটা টিক টিক করে ঘণ্টা দিন, মাস থেকে বছরে পাড়ি দিচ্ছে। এভাবে এক একটি বছর পাড়ি দিতে দিতে আজ আমরা ৪৪টা বছর পাড় করে দিলাম। তবুও মনে হচ্ছে, এইতো সেদিন বিজয়ের নিশান উড়িয়ে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ উল্লাসের সাথে সবার কাছে এই বারতা পৌঁছে দিল , কোথায় সবাই? ঘর থেকে বেরিয়ে পড়। এখন আনন্দ করার সময়।

আজ সত্যিই সেই আনন্দের সময়। যা কিছু কষ্টের তা আজ ভুলে যেতে চাই। যা কিছু আনন্দের তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই সামনের দিকে। সাথে থাকবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হাতে লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়িয়ে আমাদের সমস্ত সত্যকে চিনিয়ে দেবে।

আর আমরা দিগভ্রান্ত হব না। পথভোলা পথিকের মতো গুমড়ে পথের ধারে হাতাশার চিত্রপট আঁকব না। এতো বীরত্বের ইতিহাস আমাদের; এখনও জীবিত আছে সেই বীরদের কেউ না কেউ। তাঁরাই আমাদের অন্ধকারের চোরা গলি থেকে পথ দেখিয়ে আলার পথে নিয়ে আসবে।

 আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। আমাদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে ৭১’। আমরা ভুলে যায়নি আমাদের সেই ভাইবোনদের ; যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। এই পতাকাই আমাদের বিজয়ের প্রতীক। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এই পতাকা উড়িয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, আজ থেকে আমরা মুক্ত-স্বাধীন। বিজয়ের চেতনায় আজ আমরা উজ্জ্বীবিত। আসুন, আমরা সবাই আবার শপথ নিই; রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজের এই পতাকাকে আমরা কখনও পরাজিত হতে দেব না।

 

শারমিন আকতার
নির্বাহী সম্পাদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
[email protected]

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G